প্রধানমন্ত্রীকে বহুবিধ কাজ সম্পাদন করতে হয় । যেমন -
১. সংবিধান অনুযায়ী দেশের সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শাসন কার্য পরিচালনা করেন । মন্ত্রিপরিষদের সহযোগিতায় তিনি শাসনসংক্রান্ত সকল দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভা যৌথভাবে সংসদের নিকট দায়ী থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভার সদস্য, সাংবিধানিক পদে রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিদেশে রাষ্ট্রদূত ইত্যাদি নিয়োগ দেন ।
২. প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের প্রধান । তিনি মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা নির্ধারণ করেন ও মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করেন । মন্ত্রীদের কাজ তদারক করেন । বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের মধ্যে সমন্বয় করেন । সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মন্ত্রীগণ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ও অনুমোদন নিয়ে কাজ করেন । তিনি যেকোনো মন্ত্রীকে তার পদ থেকে অপসারণের পরামর্শ দিতে পারেন ।
৩. প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের একজন সদস্য ও সংসদ নেতা । তিনি সংসদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন । যেমন- সংসদ অধিবেশনে নির্ধারিত দিনে সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব প্রদান করেন, সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচী ও কার্যক্রম তুলে ধরে সংসদে বক্তৃতা প্রদান করেন। এছাড়া তিনি জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত বা ভেঙে দিতে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারেন ।
8. সংসদে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে কোনো সরকারি বিল উত্থাপনের পূর্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। যদি প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিপরিষদ উক্ত প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন তবেই তা সংসদে বিল আকারে উত্থাপন করা যায় । এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও পরামর্শে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের (জাতীয়) বাজেট প্রণয়ন ও সংসদে উপস্থাপন করেন । এভাবে তিনি আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন ।
৫. পররাষ্ট্র বিষয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন । প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি ছাড়া কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদিত হতে পারে না । আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন ।
৬. দেশের জরুরি অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া যেকোনো নির্দেশ দিতে পারেন ।
৭. প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্বার্থের রক্ষক । জাতীয় স্বার্থে তিনি বিভিন্ন সময়ে বক্তৃতা ও বিবৃতির মাধ্যমে জনগণকে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করেন ও জনগণের মধ্যে সংহতি রক্ষায় কাজ করেন ।
Read more